'অনুপ্রেরণামূলক বই PDF Books (All) - মোটিভেশনাল বই PDF Books (বিশাল কালেকশন)আয়মান সাদিক সকল বই PDF (All) - Ayman Sadiq book PDF (All)

vallage na by ayman sadiq Pdf Download || ভাল্লাগে না – আয়মান সাদিক পিডিএফ ডাউনলোড

vallage na Pdf book by ayman sadiq 

Book: vallage na pdf | ভাল্লাগে না
Book Written: Ayman Sadiq & Antik Mahmud

vallage na bangla Pdf Download Link: 

কপিরাইট এর কারণে লিংক দেওয়া হবে না। অদুর ভবিষ্যতে কপিরাইট মুক্ত হলে বইটি পেতে আমাদের Facebook Page এ যুক্ত থাকুন।

student life টা আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়,যে সময়টার উপরই ডিপেন্ড করে পুরো লাইফের স্ট্রাকচার কেমন হবে। স্টূডেন্ট লাইফে এটা ভাল্লাগে না,ঐটা ভাল্লাগে না এরকম আলস্যতা প্রায়সময় আমাদের পেয়ে বসে। তখন আমরা উপায় খুজতে থাকি এই ভাল্লাগেনা টাইপের বাধাকে কিভাবে অতিক্রম করা যায়। এক্ষেত্রে “ভাল্লাগে না” -বইটা  হতে পারে উল্লেখযোগ্য সমাধান।
আয়মান সাদিক এবং অন্তিক মাহমুদের বইটা পড়ে আশা করি আপনাদের খুব ভাল্লাগবে। 

# মা
দুপুরে হঠাৎ অফিস থেকে এসে দেখি মা রান্না করছে। এই গরমের ভিতর মা রান্না করে মার শরীরের অবস্থা খারাপ। গরমে ঘেমে সারা শরীর ভিজে গেছে। আমি মাকে বললাম,
— মা, তুমি এমনিতেই হাই প্রেসারের রোগী। তুমি কেন রান্না ঘরে আগুনের পাশে রান্না করছো? অধরা (আমার স্ত্রী) কোথায়?
মা আঁচল দিয়ে মুখের ঘাম মুছতে মুছতে বললো,
~ বউমা তো তুই অফিসের যাওয়ার পর পর বাহিরে বের হলো। এখনো তো আসলো না…

vallage na pdf download

প্রায়সময় এমন হয় আমি আফিস থেকে এসে দেখি অধরা বাসায় নেই আর মা সংসারের কাজ করছে। একদিন অধরাকে বললাম,
–অধরা, তুমি এখন কলেজে পড়া সেই মুক্ত তরুণী না। ইচ্ছে হলেই বাসা থেকে বের হয়ে যাবে আবার ইচ্ছে হলে বাসায় আসবে এটা তো ঠিক না। তোমার সংসার আছে, স্বামী আছে, শ্বাশুড়ি আছে। সংসারের নানা কাজ কর্ম আছে। এইসব কাজকর্ম ফেলে রেখে তুমি তো বাহিরে ঘন্টার পর ঘন্টা থাকতে পারো না…
আমি অধরাকে যথেষ্ট ভদ্র আর শান্তভাবে কথা গুলো বলেছিলাম। কিন্তু অধরা আমার কথা শুনে রেগে গিয়ে চিৎকার করে বললো,
— তাহমিদ , তুমি যদি ভেবে থাকো আমার বিয়ে হয়ে গেছে দেখে আমার সব স্বাধীনতা শেষ হয়ে গেছে তাহলে সেটা তোমার ভুল ধারণা। আমি সারাক্ষণ ঘরে বসে তোমাদের রান্না করে খাওয়াতে পারবো না। আমার বন্ধু বান্ধব আছে, কাজিনরা আছে, আমি ওদের কাছে যাবো ওদের সাথে সময় কাটাবো এটাই তো স্বাভাবিক…

আমি আর কথা বাড়ালাম না কারণ ওর সাথে এখন কথা বাড়ালে ঝগড়া হবে। আর আমি ওর সাথে ঝগড়া করতে চাই না। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম ভেবেছিলাম হয়তো ও আমায় বুঝবে এখন দেখছি ও সব সময় আমায় উল্টো বুঝে…

সেদিন অধরা আমায় জড়িয়ে ধরে বললো,
– তাহমিদ একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে আমার জব হয়ে গেছে।
আমি অধরার কথা শুনে খুশি হতে পারলাম না। বরং অবাক হয়ে বললাম,
— আমি যা ইনকাম করছি তাতে তো আমাদের খুব ভালোভাবে চলে যাচ্ছে। তাহলে শুধু শুধু তোমার জব করার কি দরকার?
অধরা আমার কথাশুনে রেগে গিয়ে বললো,
– আমি এত কষ্ট করে পড়াশুনো করেছি ঘরের এক কোণে বসে থাকার জন্য না কি? আমি আমার নিজের পরিচয় চাই। আমার ক্যারিয়ারের দিকে ফোকাস দিতে চাই। এইসব সংসারের দিকে আমি এখন নজর দিতে পারবো না। তাই মাকে দেখাশুনো আর রান্নার জন্য আমি একটা কাজের মেয়ে ঠিক করেছি। কাল থেকে সেই মেয়েটা আসবে…

আমি আর অধরাকে কিছু বললাম না কারণ ওকে বুঝিয়ে কোন লাভ নেই। ও যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই করবে…

vallage na book by ayman sadiq
যেদিন বাসায় এসে দেখি ঘরের জিনিস এলোমেলো আর মা বসে কান্না করছে। আমি মার পাশে বসে মার হাতটা ধরে বললাম,
– মা কি হয়েছে? তুমি কাঁদছো কেন?
মা চোখের পানি মুছতে মুছতে বললো,
~ দুপুরে খাওয়ার পর আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার আলমারির সব জিনিস পত্র এলোমেলো। আর ঘরে কাজের মেয়েটাও নেই। তোর বাবার দেওয়া শেষ স্মৃতি হাতের বালা গুলোও কাজের মেয়েটা চুরি করে নিয়ে গেছে।

অধরা বাসায় এসে সব কিছু জানার পর বললো,
– কাজের মেয়েকে ঘরে রেখে এইভাবে ঘুমালে চুরি তো হবেই..
অধরার কথাশুনে ইচ্ছে হচ্ছিলো ওর গালে কষে একটা থাপ্পড় মারি। কিন্তু নারী জাতি দেখে সম্মানের সহিত গায়ে হাত তুললাম না ।
আমি অধরাকে বললাম,
— তুমি চাকরিটা ছেড়ে দাও। একটু সংসারের দিকে মন দাও। আজ চুরি হয়েছে। কাল তো অন্য কিছু হতে পারে..
অধরা আমার কথা না বুঝে উল্টো আমায় বললো,
– আমি তোমার থেকে বেশি বেতনের চাকরি করি বলে তোমার হিংসে হয়? নতুন একটা কাজের মেয়ে আনবো আর আমরা অফিসে গেলে বাহির থেকে তালা মেরে যাবো তাহলেই হবে…

আসলে আর কিছুক্ষণ ওর কথা শুনলে ওর গায়ে হাত তুলে ফেলতাম। তাই চুপচাপ কিছু না বলে ওর সামনে থেকে চলে গেলাম…

vallage na book pdf download এখন থেকে অধরা অফিসে যাওয়ার সময় বাসায় তালা দিয়ে যায়। আমি বহুবার বলেছি তালা দেওয়ার দরকার নেই মেয়েটা আমার পরিচিত যদি চুরি করে পালিয়ে যায় আমি ঠিক খুঁজে বের করে ফেলবো। কিন্তু অধরা আমার কথা শুনে নি৷

আজ বাসায় এসে দেখি আমার বাসার সামনে অনেক লোক। এত লোক দেখে কেন জানি মনের ভিতর এক ধরণের ভয় লাগা শুরু হলো। আমাকে দেখে আমার প্রতিবেশী রফিক সাহেব বললো,
~ ভাই, আপনাকে তো ফোন দিচ্ছি কিন্তু আপনি ফোন ধরছেন না।
আমি আমতা আমতা করে বললাম,
— ভাই ফোনটা ভুলে বাসায় রেখে গিয়েছিলাম। কেন কি হয়ছে?

ভাল্লাগে না আয়মান সাদিক pdf download

আমি বাসার ভিতরে ঢুকে দেখি মা ফ্লোরে শুয়ে আছে আর কাজের মেয়েটা পাশে বসে কাঁদছে। আমাকে দেখে কাছের মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে বললো,
~ ভাইজান, দুপুরের দিকে চাচীর বুকে ব্যথা উঠেছিলো। আমি আপনাকে ফোন দিলাম কিন্তু আপনার ফোন বাসায় রেখে গেছেন।ভাবীকে একটার পর একটা কল দিলাম উনি শুধু ফোন কেটে দেন। পরে ফোন বন্ধ করে ফেলে৷ আমি বাসার বাহিরে বের হতে পারছিলাম না কারণ বাহিরে তালা মারা ছিলো। শেষে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করলাম। তারপর উনারা তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকলো। কিন্তা ততক্ষণে চাচীজান আর বেঁচে নাই…
আমি জানি না আমার তখন কি হলো শুধু মার সামনে বসে আমি মার মাথায় হাত বুলাচ্ছিলাম। ভিতর থেকে পুরো পাথর হয়ে গিয়েছিলাম তাই চোখ দিয়ে একফোঁটা পানি বের হচ্ছিলো না…


vallage na ayman sadiq pdf download

মা মারা গেছে আজ ৩ দিন হলো। আমি বসে আছি অধরা আমার হাতটা ধরে বললো,
-তাহমিদ একটু শক্ত হও। সবাইকে তো একদিন মরতে হবে৷
আমি নিচের দিকে তাকিয়ে অধরাকে বললাম,
— সেদিন কাজের মেয়েটা তোমায় কতবার ফোন দিয়েছিলো?
অধরা আমতা আমতা করে বললো,
– তাহমিদ,  আমি অফিসের মিটিংয়ে ছিলাম। তাই ফোনটা রিসিভ করতে পারি নি।
আমি তখন অধরার চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম,
–জানো অধরা,  আমি বউ চেয়েছিলাম আমার প্রতিদ্বন্দ্বী চাই নি। আমি বলছি না মেয়েরা ঘরের বাহিরে কাজ করতে পারবে না। মেয়েরা ঘরের বাহিরে কাজ করুক কিন্তু সেই কাজটা যেন সংসারের ক্ষতি বয়ে না আনে। আজ তুমি বাসায় থাকলে হয়তো আমার মা এইভাবে মরতো না। প্রতিটা মেয়ের কাছে সংসারের গুরুত্ব অপরিসীম। সংসারের জন্য মেয়েরা অনেক কিছু ত্যাগ করে। আমার মা কিন্তু এই সংসারের জন্য নিজের সরকারি জব ছেড়ে দেন। উনি শিক্ষিত হয়েও সারাটা জীবন এই সংসারটাকে আগলে রেখেছেন।

অধরা, সব মানুষ শুধু নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য পড়াশোনা করে না। কিছু কিছু মানুষ পড়াশোনা করে পরিপূর্ণভাবে মানুষ হওয়ার জন্য। একদিন সবাইকে মরতে হয় কিন্তু কেন জানি আমার মার মৃত্যুর জন্য তোমাকে দায়ী করতে ইচ্ছে করছে।
আমি এখন মার কবরের পাশে যাবো। সেদিন কাঁদতে পারি নি আজ মার কবরের পাশে বসে দুই ফোঁটা চোখের জল ফেলবো।
বাসায় এসে তোমার মুখটা যেন আর না দেখি…

অধরা কিছু বলতে চেয়েছিলো কিন্তু আমি ওর গালে থাপ্পড় মেরে বললাম,
— মার এমন মৃত্যুর জন্য আমিও দায়ী। এই থাপ্পড়টা আগে দিতে পারলে আজ আমার মা হয়তো বেঁচে থাকতো…

লিখেছেন: tahmied_hossain

vallage na pdf download

 

vallage na by ayman sadiq pdf download link: 

(13 mb)[Direct GoogleDrive link]

বিঃদ্রঃ বিঃদ্রঃ এত্ত সুন্দর একটি বইয়ের হার্ডকপি আপনার সংগ্রহে রাখতে কেন এত বিলম্ব হচ্ছে?।সামর্থবান পাঠকদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ রইল,বইটির একটা hardcopy নিকটস্থ লাইব্রেরি অথবা অনলাইন শপ থেকে ক্রয় করুন।

আপলোডকৃত অন্যান্য PDF তালিকা দেখুন:(Click for pdf link)

আমাজনিয়া

vallage na pdf download: click here

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!