frankenstein book in bangla pdf download
বইয়ের নাম: ফ্রাংকেনস্টাইন
লেখকের নাম: মেরী শেলী
অনুবাদক: বদিউদ্দিন নাজির, অনীশ দাশ অপু
ক্যাটাগরি: অনুবাদ বই
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৮১ page
১ম প্রকাশ: ২০০৪ সাল
ফাইল ফরম্যাট: Pdf
file সাইজ: ৫ এম্বি
অনুবাদক: বদিউদ্দিন নাজির, অনীশ দাশ অপু
ক্যাটাগরি: অনুবাদ বই
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৮১ page
১ম প্রকাশ: ২০০৪ সাল
ফাইল ফরম্যাট: Pdf
file সাইজ: ৫ এম্বি
ফ্রাংকেনস্টাইন মেরি শেলি বই রিভিউ:
শর্ট রিভিউ-বিজ্ঞানী ভেক্টর ফ্রাংকেনস্টাইন মানুষকে কিভাবে অমরত্ব দেওয়া যায় নিজের সর্বস্ব দিয়ে জানার চেষ্টা করতে লাগলেন। অনেক কষ্ট, পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করে তিনি মানুষ সৃষ্টি করতে গেলেন। কিন্তু তা মানুষ না হয়ে, হয়ে গেলো কুৎসিত, বিকৃত ভয়ংকর এক দানব। লজ্জায়, ঘৃণায়, ভয়ে তিনি দানবকে সেখানেই ফেলে আসলেন। কিন্তু দানব তার পিছু ছাড়লো না। তার সুন্দর সাজানো জীবনকে দূর্বিষহ নরকে পরিণত করে ছাড়লো। কিন্তু কেন? কিভাবে?? তা জানতে হলে পড়তে হবে মেরী শেলীর অনবদ্য সৃষ্টি এই বইটি।
বইটি আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক ভুবনে, শেষ পর্যন্ত ধরে রাখবে টানটান উত্তেজনায়। যারা সাইন্স ফিকশন পছন্দ করেন তাদের জন্য ত অবশ্যই অন্য বই লাভারদের জন্যও মাস্ট রিড বুক.
লেখক মেরি শেলিকে নিয়ে অজানা রহস্যময় কিছু তথ্য:
#সত্য ঘটনা
বিখ্যাত লেখিকা ম্যারী শেলীর নাম হয়তো অনেকেই শুনেছেন। দুনিয়া কাঁপানো কল্পকাহিনী " ফ্রাংকেনস্টাইন " এর রচয়িতা তিনি। সে যাই হোক, স্বামীর প্রতি ছিলো তার অগাধ ভালোবাসা।আর সে ভালোবাসার মায়াতেই তিনি টানা ৩০ বছর মৃত স্বামীর হৃৎপিণ্ড নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর এক বছর পর টেবিলের ড্রয়ার থেকে এটা উদ্ধার করা হয়। হৃৎপিণ্ডটা তার লেখা কিছু কবিতার পৃষ্ঠা দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছিল।
#সত্য ঘটনা
বিখ্যাত লেখিকা ম্যারী শেলীর নাম হয়তো অনেকেই শুনেছেন। দুনিয়া কাঁপানো কল্পকাহিনী " ফ্রাংকেনস্টাইন " এর রচয়িতা তিনি। সে যাই হোক, স্বামীর প্রতি ছিলো তার অগাধ ভালোবাসা।আর সে ভালোবাসার মায়াতেই তিনি টানা ৩০ বছর মৃত স্বামীর হৃৎপিণ্ড নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর এক বছর পর টেবিলের ড্রয়ার থেকে এটা উদ্ধার করা হয়। হৃৎপিণ্ডটা তার লেখা কিছু কবিতার পৃষ্ঠা দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছিল।
ফ্রাংকেনস্টাইন pdf full রিভিউ:
অভিযাত্রী রবার্ট ওয়ালটন। উত্তর মেরুর 'কখনো মানুষের পা পড়ে নি' এমন স্থান আবিষ্কারে যে বদ্ধ পরিকর। তাইতো একসময় দলবল নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল সে সেই স্থানের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সেই স্থানের কাছাকাছি গিয়েই সে অবাক হয়ে আবিষ্কার করল দুইটা কুকুরটানা স্লেজগাড়ি, এক দৈত্যাকার মানুষ আর এক মুমূর্ষু ব্যক্তিকে।
অভিযাত্রী রবার্ট ওয়ালটন। উত্তর মেরুর 'কখনো মানুষের পা পড়ে নি' এমন স্থান আবিষ্কারে যে বদ্ধ পরিকর। তাইতো একসময় দলবল নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল সে সেই স্থানের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সেই স্থানের কাছাকাছি গিয়েই সে অবাক হয়ে আবিষ্কার করল দুইটা কুকুরটানা স্লেজগাড়ি, এক দৈত্যাকার মানুষ আর এক মুমূর্ষু ব্যক্তিকে।
এই মুমূর্ষু ব্যক্তিটিই আমাদের গল্পের নায়ক ইংল্যান্ড সেরা বিজ্ঞানী ফ্রাংকেনস্টাইন। কিন্তু তিনি এখানে কেন?
সে প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের শুনতে হবে ফ্রাংকেনস্টাইনের জবানবন্দী। দেশসেরা বিজ্ঞানী হওয়ায় যেকোনো গবেষণা করার সুযোগ পেত সে। উচ্চবিলাসী ফ্রাংকেনস্টাইন একসময় সিদ্ধান্ত নিল মানুষ বানিয়ে চমকে দেবে পুরো বিশ্বকে। শুরু হল গবেষণা কিন্তু ফলাফল যা হল তাতে বিশ্ববাসী নয়, চমকে গেল সে নিজেই। জন্ম নিল দৈত্যাকার এক কিম্ভূতকিমাকার মানুষের যার ভয়ে পালাতে হল তাকেই।
কিন্তু 'মানুষটি' পিছু ছাড়ল না তাঁর। ভাই, বন্ধু,স্ত্রীসহ ৫ জনের মৃত্যুর কারণ হল সে। নিজ আবিষ্কারে অনুতাপে এবং মৃত্যুগুলোর জন্য প্রতিশোধে পাগলপ্রায় হয়ে গেল ফ্রাংকেনস্টাইন। ধাওয়া শুরু হল 'সৃষ্টিকর্তা' আর 'সৃষ্টির'। আর সেই ধাওয়া গিয়ে গড়াল উত্তর মেরুর হিমশীতল সমুদ্র পর্যন্ত। তারপর? কি হল ফ্রাংকেনস্টাইন বা সেই 'মানুষটির'? কিইবা ভূমিকা রবার্ট ওয়ালটনের?
পাঠ প্রতিক্রিয়া :
মেরি শেলি একজন ইংরেজ গল্পকার ও ঔপন্যাসিক। ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত লেখা শুরু করেন এবং মাত্র উনিশ বছর বয়সে স্বামী বিখ্যাত কবি পি বি শেলি ও বন্ধু বায়বনের অনুপ্রেরণায় লিখে ফেলেন 'ফ্রাংকেনস্টাইন' নামক উপন্যাসটি যা পরিগণিত হয় বিশ্বের প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী হিসেবে।
বইটার যে বিষয়টা সবচেয়ে আকর্ষণীয় তা হল বইটার বিষয়বস্তু। মাত্র উনিশ বছর বয়সে আঠার শতকে লেখিকা যে বিষয়টি নির্বাচন করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
কিন্তু এসব ছাড়িয়েও বিজ্ঞানের ব্যবহার ও মানুষের অপরিণামদর্শিতার ফলাফলের যে চিত্র লেখিকা এঁকেছেন তাই বইটিকে গত দুই শতাব্দী ধরে পৃথিবীর এক অমর কাহিনী হিসেবে স্থান দিয়েছে। মানুষের সৃষ্টিশীলতা ছাপিয়েও প্রযুক্তি যে মানুষের ব্যবহারের উপরেই নিভর্শীল বইটি আমাকে বারবার তাই মনে করিয়ে দিয়েছে।
ফ্রাংকেনস্টাইনের হতাশা এবং অপরাধবোধ আমাকে এটা ভাবতে বাধ্য করেছে যে বন্দুক, ডিনামাইট, নিউক্লিয়ার বোমার আবিষ্কর্তারাও তাদের আবিষ্কারের ব্যবহার দেখলে হয়তো ওর মতই অপরাধবোধে পীড়িত হতেন। 'তুমি আমার সৃষ্টিকর্তা হতে পার কিন্তু আমিই তোমার মনিব' দৈত্যাকার মানুষটির কথাটাই যেন সমস্ত মারণাস্ত্রগুলো অনবরত ঘোষণা করে মানবজাতির উদ্দেশ্যে।
এসব ছাপিয়েও ফ্রাংকেনস্টাইন ও দানবটির আশা-আকাঙ্ক্ষা ও দু:খ-বেদনার যে মর্মস্পর্শী বিবরণ তাও ভারাক্রান্ত করে মনকে। দানবের আকার-আকৃতি আর হত্যার দৃশ্যগুলো যেমন একদিকে বইটিকে হরর কাহিনী হিসেবে মনে করায় আবার তেমনি শেষ পরিণতি বইটাকে করে তোলে ট্র্যাজিক।
0 Comments: