sami istrir jounomilon - স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম Pdf Download ও বই রিভিউ-
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা স্বামী স্ত্রী সহবাসের নিয়ম গুলো জানবো এবং সেইসাথে পিডিএফ ডাউনলোড লিংক আপনাদের সহায়তা করার চেষ্টা করব.
বড় বড় আলেমগণ স্বামী-স্ত্রী - সতেজ আপনি কিছু কথা বলেছেন সেগুলো আমরা জানবো-
প্রথম কথা হচ্ছে তাদের নিয়ত যেন শুভ হয়.
1. হারাম হতে দূরে থাকা .
.2. নিজের নফসকে হেফাজত রাখে
প্রশংসা মহান রাব্লুল আলামীনের জন্য, যিনি এক ও অদ্বিতীয় । একমাত্র তিনিই সকল সৌন্দর্য ও প্রশংসার অধিকারী । আমাদের সকলের পক্ষ থেকে সর্বক্ষণ অগনিত দরন্দ ও সালাম অবতীর্ণ হোক শেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রুহ মুবারকের উপর। শাস্তি বর্ষিত হোক সকল নবী, রাসূল, সকল সাহাবী ও বুযুর্গানে দ্বীনের উপর ।
আল্লাহ্ তাআলা বলেন- “মানুষ কি শুধুমাত্র মাটির একটি টুকরা ছিলো না? যা বৃষ্টির পানির ন্যায় ঝড়ে পড়ত।' অতঃপর তিনি তাকে জমাট রক্তে পরিণত করেছেন। সবশেষে মানুষের আকৃতি দান করে প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গকে যথাস্থানে স্থাপন করেছেন। এবং তাকে দু'শ্রেণীতে বিভক্ত করেছেন। এক. নর । দুই. নারী। আল্লাহ্ তাআলা কি মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম নন? হে মানুষেরা!
মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়ার ব্যাপারে তোমাদের সন্দেহ হলে চিন্তা করে দেখ (তোমরা ইতিপূর্বে কি ছিলে?) আমি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর বীর্ধে রূপান্তর করেছি। সে বীর্যকে জমাট রক্তে পরিণত করেছি। এবং তা গোশতে পরিণত করেছি।' এই প্রণালী পরিপূর্ণও করেছি আবার অপূর্ণাঙ্গও রেখেছি। আমি এসব শিল্পকার্য এজন্য করেছি, যেন তোমরা সত্যকে বুঝতে পার। তোমাদের সম্মুখে বাস্তবতা প্রকাশ পায়। আমি যে নুতফাকে ইচ্ছা করি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মায়ের জরায়ুতে রাখি । এরপর তোমাদেরকে ছোট বাচ্চার আকৃতিতে বের করি। অতঃপর তোমাদের দেখাশুনা ও লালন-পালন করি, যেন তোমরা যৌবনে পদার্পন করতে পার। তোমাদের মধ্য হতে কাউকে সময়ের পূর্বেই (অধিক বয়স হওয়ার পূর্বেই) চলে আসতে হয়, আবার কাউকে ষাট বছর অতিক্রমের পর চলে আসতে হয়। যাতে সবকিছু জানার পর অনুধাবন করতে পারে ।
উপরোক্ত আলোচনায় মানুষকে দু"শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। যথা-
- পুরুষ ও
- মহিলা ।
তারা পরস্পরে একে অপরের সাথে এতো ঘনিষ্ট যে, প্রত্যেকেই একে অপরের দিকে মুখাপেক্ষী। পুরুষরা যেমন স্বীয় যৌনচাহিদা পুরণের জন্য নারীর মুখাপেক্ষী । সুতরাং তাদের এ যৌনচাহিদা পুরণের ক্ষেত্রে হালাল পথ গ্রহণ করলে, শরীয়তের পরিভাষায় তাকে নিকাহ বা বিবাহ বলে। হাদীসে এটাকে সুন্নাত বলা হয়েছে। আবার অবস্থাভেদে বিবাহকে চার ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা-
১) নিকাহে ফরয।
২) নিকাহে সুন্নাত।
৩) নিকাহে মাকরূহ।
8) নিকাহে হারাম ।
নিম্নে এগুলোর সংজ্ঞা দেয়া হলো ।
নিকাহে ফরয- যখন কোনো পুরুষের মরদামী শক্তি এ পরিমান প্রকট হয় যে, যে কোনো মুহূর্তে যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। মরদামী শক্তির সাথে সাথে আর্থিক স্বচ্ছলতাও থাকে। এরূপ হালতে তার জন্য বিবাহ করা ফরয।
নিকাহে সুন্নাত - যে পুরুষের মরদামী শক্তি অধিক প্রকটও নয় আবার একেবারে নমনীয়ও নয় বরং মধ্যাবস্থায় রয়েছে। আবার সেই সাথে স্ত্রীর যৌনচাহিদা ও আর্থিক চাহিদাও পুরণে স্থামর্থবান হয়। তাহলে এরূপ মুহূর্তে তার জন্য বিবাহ করা সুন্নাত।
নিকাহে মাকরুহ - যখন কোনো: পুরুষের মরদামী শক্তির ব্যাপারে এ ধারণা হবে যে, আমি যদি বিবাহ করি, তাহলে স্ত্রীর যৌনচাহিদা পূরণ করতে পারব না। এরূপ হালতে তার জন্য বিবাহ করা মাকরুহ।
নিকাহে হারাম - যদি কোনো পুরুষের পূর্ণ বিশ্বাস থাকে যে, সে বিবাহ করলে তার স্ত্রীর যৌনচাহিদা একেবারেই পূর্ণ করতে পারবে নাঁ। ভবিষ্যতেও তার হক আদায় করার সম্ভবনা নেই। বিবাহ করার ছারা স্ত্রীর উপর জুলুম বৈ কিছুই হবে না। এরূপ হালতে তার জন্য বিবাহ করা হারাম। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল- যৈবিক চাহিদা পুরণের ক্ষেত্রে হালাল ও বৈধ পথ অবলম্বন না করলে তার তিন অবস্থা এবং তিনটিই হারাম । যথা- .
- (1) যিনা ব্যভিচার
- (২) জলক্ তথা হস্তমৈথুন
- (৩) সমকামিতা ।
এসবগুলো বিস্তারিত আলোচনা সামনে করা হবে। ইনশাআল্লাহ্.
স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম পিডিএফ - click here
0 Comments: