Others PDF Booksহুমায়ূন আহমেদ এর বই সমূহ তালিকা PDF (All Books)
মেঘের ছায়া হুমায়ুন আহমেদ pdf || megher chaya book pdf
Megher chaya by humayun ahmed pdf free
বইয়ের নামঃ মেঘের ছায়া
লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ
ক্যাটাগরি: কল্পকাহিনী, সমকালীন উপন্যাস(uponnash), শুভ্র সিরিজের বই
রেটিং – ৮/১০
১ম প্রকাশ: ২০০৪ সাল
পেজ: ৯০ পৃষ্ঠা
type সংগ্রহ– pdf (পিডিএফ)
file size: ৮ এম্বি
লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ
ক্যাটাগরি: কল্পকাহিনী, সমকালীন উপন্যাস(uponnash), শুভ্র সিরিজের বই
রেটিং – ৮/১০
১ম প্রকাশ: ২০০৪ সাল
পেজ: ৯০ পৃষ্ঠা
type সংগ্রহ– pdf (পিডিএফ)
file size: ৮ এম্বি
মেঘের ছায়া উপন্যাস রিভিউ
পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ
শুদ্ধতম মানুষ কেমন হবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে খুজতে হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্টি করেন শুভ্র চরিত্রটির। শুভ্র কে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের ৬ টি উপন্যাস রয়েছে।
শুদ্ধতম মানুষ কেমন হবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে খুজতে হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্টি করেন শুভ্র চরিত্রটির। শুভ্র কে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের ৬ টি উপন্যাস রয়েছে।
হুমায়ূন আহমেদের এই জনপ্রিয় চরিত্রটিকে টেলিভিশন ও চলচিত্রের পর্দায় বেশ কয়েকবার নিয়ে আসা হয়েছে।
শুভ্র সিরিজের অন্যতম একটি বই মেঘের ছায়া।
সুন্দর একটি বই।হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট শুভ্র চরিত্রটি আমার অসম্ভব প্রিয়। আর মেঘের ছায়া বইটি ও চমৎকার একটি বই।পড়ে দেখতে পারেব আশা করি ভাল লাগবে।
শুভ্র সিরিজের অন্যতম একটি বই মেঘের ছায়া।
সুন্দর একটি বই।হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট শুভ্র চরিত্রটি আমার অসম্ভব প্রিয়। আর মেঘের ছায়া বইটি ও চমৎকার একটি বই।পড়ে দেখতে পারেব আশা করি ভাল লাগবে।
হাপি রিডিং….
সারসংক্ষেপ-ঃ
শুভ্র সিরিজ অনেকের পড়া।
শুভ্র সুদর্শন ছেলে। চোখে একটু কম দেখে।কিন্তু ছেলেটা অন্য সব বিত্তবান ছেলেদের মতো না। সাধারণত বিত্তবান ছেলেদেরও বিত্তবান ছেলেপুলেদের সাথে উঠাবসা। কিন্তু তার গরীব ছেলেদের সাথে উঠাবসা।জাহেদ নামে তার একটা অসহায় বন্ধু আছে। জাহেদের গার্লফ্রেন্ডের নাম কেয়া। কেয়াও অসহায়।বাবা-মা মারা যাবার পর বোনের বাড়িতে থাকে।শুভ্রোর আরেকটা বন্ধু আছে নাম সাহের।সাহের মারা গেছে। সাহেরর বাবা অসুস্থ। তার বড় বোন নাম নীতু।সাহের মারা যাবার পর শুভ্র প্রাই ওদের বাসায় যায়।শুভ্র নীতু আপাকে পছন্দ করে।
শুভ্র সুদর্শন ছেলে। চোখে একটু কম দেখে।কিন্তু ছেলেটা অন্য সব বিত্তবান ছেলেদের মতো না। সাধারণত বিত্তবান ছেলেদেরও বিত্তবান ছেলেপুলেদের সাথে উঠাবসা। কিন্তু তার গরীব ছেলেদের সাথে উঠাবসা।জাহেদ নামে তার একটা অসহায় বন্ধু আছে। জাহেদের গার্লফ্রেন্ডের নাম কেয়া। কেয়াও অসহায়।বাবা-মা মারা যাবার পর বোনের বাড়িতে থাকে।শুভ্রোর আরেকটা বন্ধু আছে নাম সাহের।সাহের মারা গেছে। সাহেরর বাবা অসুস্থ। তার বড় বোন নাম নীতু।সাহের মারা যাবার পর শুভ্র প্রাই ওদের বাসায় যায়।শুভ্র নীতু আপাকে পছন্দ করে।
শুভ্র কি বয়সে বড় নীতু আপাকে বিয়ে করতে পেরেছিল??
হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্ট অত্যন্ত জনপ্রিয় চরিত্র শুভ্রকে নিয়ে এই উপন্যাসের কাহিনী।
শুভ্র শুদ্ধতম মানুষ।পৃথিবীর সবচেয়ে রুপবান ছেলেটি হল শুভ্র।শুভ্র তার জীবনের কোন পরীক্ষাতে প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হয়নি।
তার চোখ খুব খারাপ, চোখ থেকে চশমা খুলে ফেললে সে প্রায় অন্ধ; ফলে তার ক্লাসের বন্ধুরা তাকে কানাবাবা নামে ডাকত।শুভ্রের বাবা ইয়াজুউদ্দিন সাহেব বিশাল বড়লোক ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যবসায়ী। তিনি তার বুদ্ধি ও শ্রম দিয়ে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। তবে ইদানিং তার শরীরটা ভাল যাচ্ছেনা, তাই তিনি তার সমস্ত দায়িত্ব্ব ছেলেকে বুঝিয়ে দিয়ে অবসরে যেতে চান। কিন্তু শুভ্র সাতাশ বছর বয়স হলেও জাগতিক জটিলতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ এই যুবককে আগাগোড়া মোড়ে রেখেছে শিশুর সারল্য।বন্ধুবান্ধব খুবই সাধারণ এবং সংখ্যা ও কম।তার বন্ধুবান্ধবদের বেশির ভাগ গরীব তাই শুভ্রের মা,বাবা চান না শুভ্র এদের সাথে চলুক।তাদের ধারনা শুভ্রের অটেল সম্পত্তির জন্য তার সাথে বন্ধুত্ব করেছে।
তেমন দুই বন্ধুর কথা এই উপন্যাস এ ওঠে এসেছে।জাহেদঃ শুভ্রের বন্ধু জাহেদ, প্রাইভেট টিউশনি করেই যার জীবনধারন, আর আশ্রয় বলতে মামার বাসার বারান্দা। এরকম নিঃস্ব অবস্থায় থেকেও কেয়াকে বিয়ে করার মত সাহস সঞ্চয় করে ফেললো জাহেদ। জাহেদের বিয়েতে শুভ্রর বরযাত্রী যাবার কথা থাকলেও মায়ের ইচ্ছাকৃত ভুলের কারনে যাওয়া হয়ে উঠেনা; জাহেদ-কেয়াকে বিয়ের উপহার হিসেবে খুব সুন্দর একটা জিনিস দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও বাবার অমতে সেটাও বাতিল হয়ে যায়।
শুভ্র শুদ্ধতম মানুষ।পৃথিবীর সবচেয়ে রুপবান ছেলেটি হল শুভ্র।শুভ্র তার জীবনের কোন পরীক্ষাতে প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হয়নি।
তার চোখ খুব খারাপ, চোখ থেকে চশমা খুলে ফেললে সে প্রায় অন্ধ; ফলে তার ক্লাসের বন্ধুরা তাকে কানাবাবা নামে ডাকত।শুভ্রের বাবা ইয়াজুউদ্দিন সাহেব বিশাল বড়লোক ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যবসায়ী। তিনি তার বুদ্ধি ও শ্রম দিয়ে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। তবে ইদানিং তার শরীরটা ভাল যাচ্ছেনা, তাই তিনি তার সমস্ত দায়িত্ব্ব ছেলেকে বুঝিয়ে দিয়ে অবসরে যেতে চান। কিন্তু শুভ্র সাতাশ বছর বয়স হলেও জাগতিক জটিলতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ এই যুবককে আগাগোড়া মোড়ে রেখেছে শিশুর সারল্য।বন্ধুবান্ধব খুবই সাধারণ এবং সংখ্যা ও কম।তার বন্ধুবান্ধবদের বেশির ভাগ গরীব তাই শুভ্রের মা,বাবা চান না শুভ্র এদের সাথে চলুক।তাদের ধারনা শুভ্রের অটেল সম্পত্তির জন্য তার সাথে বন্ধুত্ব করেছে।
তেমন দুই বন্ধুর কথা এই উপন্যাস এ ওঠে এসেছে।জাহেদঃ শুভ্রের বন্ধু জাহেদ, প্রাইভেট টিউশনি করেই যার জীবনধারন, আর আশ্রয় বলতে মামার বাসার বারান্দা। এরকম নিঃস্ব অবস্থায় থেকেও কেয়াকে বিয়ে করার মত সাহস সঞ্চয় করে ফেললো জাহেদ। জাহেদের বিয়েতে শুভ্রর বরযাত্রী যাবার কথা থাকলেও মায়ের ইচ্ছাকৃত ভুলের কারনে যাওয়া হয়ে উঠেনা; জাহেদ-কেয়াকে বিয়ের উপহার হিসেবে খুব সুন্দর একটা জিনিস দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও বাবার অমতে সেটাও বাতিল হয়ে যায়।
সাবেরঃ শুভ্রের আরেক বন্ধু।আই.এ পাশ করার পর সাবের মারা যায়।সাবেরের মারা যাওয়ার পর শুভ্র তার বাড়িতে যায়।সাবেরের বাবার সাথে গল্প করতে।ওনি প্যারালাইজড হয়ে দীর্ঘদিন বিছানায় পরে আছেন। তিনি তার সব কথা জমিয়ে রাখেন শুভ্রকে বলার জন্য, আর শুভ্রও অসীম ধৈর্যসহকারে শোনে পুত্রশোকে জর্জরিত এক অসুস্থ পিতার হাহাকার।এছাড়া ও সাবেরের একটা বোন আছে তার তিন বছরের বড় তার নাম নীতু। শুভ্র তাকে নীতু আপা বলে ডাকে।
এদিকে রিয়া খালার মাধ্যমে নীতুর সাথে শুভ্রর পরিচয়, অবশ্য এই পরিচয়ের পেছনে কলকাটি নাড়ছেন শুভ্রর বাবা ইয়াজুদ্দিন সাহেব।শুভ্রের ও নীতুকে পছন্দ তবে কোন নীতু? অবশেষ কোন নীতু কি আসবে শুভ্রের জীবনে? পড়ার পর নায়হ জানবেন।
মেঘের ছায়া কাহিনী বিস্তারিত-
### মুগ্ধ করা চরিত্র শুভ্র। একটি কাল্পনিক বিশুদ্ধ চরিত্র। এই চরিত্রের জন্যই বইটি পড়া
বেশ কতোদিন আগে শুভ্র এমএসসি পরীক্ষা শেষ করেছে। বাবার ব্যাবসা ভার থেকে মুক্ত হবে আর মা তার জন্য বউ আ্নবে, সেজন্য বাড়তি আমেজ চলছে। অন্যদিকে শুভ্রের বন্ধু জাহেদের সামর্থ না থাকা সত্ত্বেও বিয়ে তাকে করতেই হবে! শুভ্র’র কাছে থেকে গাড়ি ধার করে, বোনের কাছ থেকে মায়ের হাড় এনে, ধারদেনা যা করে হোক করতেই হবে! জাহেদকে তার মামা পুষলেও তার প্রেমিকা কেয়াকে তার বোন একদিনও পুষবে না, এক মূহুর্তও না। জাহেদ মায়ের হাড় না পেলেও শুভ্র গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে, আর কেয়ার জমানো চারহাজার টাকা দিয়েছে, এই নিয়ে তাদের বিয়ে। তাদের বিয়ের পর মামা বাড়িতে গেলে তার মামা মানুষিক অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং কেয়াকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়, শেষে কেয়া আবার বোনের বাড়ি গিয়ে উঠে…সে নিম্নবিত্তের চরম প্রেম কাহিনী। এদিকে শুভ্র ঘরে না থেকে তার কলেজ বন্ধু(পরোলোকগত) সাবেরের বাসায় আসা যাওয়া হয়, তার বড়বোন নিতুর সাথেও দারুণ সখ্যতা, যদিও তার বাবা মহিন সাহেবের ছুতোতে আসতে হয়। শুভ্র নিতুর আপার দুঃখ-কষ্ট অনেক কাছ থেকে দেখে, আর এক সময় ভাবতে শুরু করলো সে নিতু আপা কে বিয়ে করবে যদিও শুভ্র নিতুর চার বছরের ছোট। তবে নিতু শুভ্রকে বুঝিয়ে দিল এটা যে ভালোবাসা তা ভাই-বোনের, এও ধরিয়ে দিলেন শুভ্র কারো কষ্ট সহ্য করতে পারে না সেজন্য নিতু আপার কষ্টও তার সহ্য হতো না, আর বিয়ে করলে এ সমস্যার সমাধান হয়। শুভ্র’র বাবা মারা যাচ্ছেন! তিনি রেখে যাচ্ছেন শুভ্র’র আর্দশ বাবার নির্দশন। আর এদিকে শুভ্র চাইছে তার চারপাশের মানুষ ভালো থাকুক তার বন্ধু জাহেদ, কেয়া, নিতু আপা, মা তবেই শুভ্রের ভালো থাকা…
বইটা কেন পড়ব?
একজন আদর্শবান মানুয় কখনো অন্য কারো কষ্ট সহ্য করতে পারে না। এই বইটাতে মানুষকে খুশি রাখার কিছু গল্প বলা হয়েছে, পাওয়া গেছে বাবার অসীম ভালোবাসার নির্দশন। ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষী হন তবে এ বই আপনার জন্য মন্দ নয়।
একজন আদর্শবান মানুয় কখনো অন্য কারো কষ্ট সহ্য করতে পারে না। এই বইটাতে মানুষকে খুশি রাখার কিছু গল্প বলা হয়েছে, পাওয়া গেছে বাবার অসীম ভালোবাসার নির্দশন। ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষী হন তবে এ বই আপনার জন্য মন্দ নয়।
খুবই ভালো দুই বন্ধু “শুভ্র” ও “জাহেদ”। আবেগ বা অনুভূতিতে দুজনে এক হলেও জগৎটা তাদের সম্পূর্ণ আলাদা। অভাব-অনটনের মধ্যে থেকেও বাধ্য হয়ে যখন জাহেদকে বিয়ে করতে হয়,তখনই সমাজের নানা অগ্রাহ্যতা ও ধৃষ্টতার শিকার হতে হয় তাকে। আর বিলাসিতার মধ্যে বেড়ে ওঠা শুভ্রর জীবনযাপনটা ঠিক স্বাভাবিক ছিল না,,যদিও বন্ধু জাহেদের প্রতি তার ছিল যথেষ্ট ভালোবাসা। দুজনের দু ধরনের জীবনযাপনের বিস্তৃত নাটকীয়তার মধ্য দিয়েই গল্পটি এগোতে থাকে পরিনতির দিকে। তবে কিছুটা অপূর্ণভাবেই শেষ হয় গল্পটি।
এ সমাজে নিম্নবিত্তদের জন্য যেমন কোনো সিমপ্যাথি নেই,,তেমনি উচ্চবিত্তরাও সম্পূর্ণ সুখী মনোভাবে থাকতে পারে না। সমাজের কিছু নির্মম বাস্তবতার কথাই বিস্তৃতভাবে তুলে ধরেছেন লেখক। তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে একটি অপ্রকাশিত আবেদন করে গিয়েছেন,,এ নির্দয় সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন চেয়েছেন।
[মানুষ একটা সময়ে বস্তুবাদের পিছঁনে হনহনিয়ে ছোটে।কিন্তু জীবনের শেষ মুহূর্ত তাদের এই অর্থ-সম্পদ মূল্যহীন।শুধু প্রিয় মুখটি দেখার জন্য ব্যাকুল থাকে!]
megher chaya pdf bangla version : click here