Others PDF Booksথ্রিলার বই Pdf (জনপ্রিয় লিস্ট) - Bengali Thriller Books PDF (All)মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন সমগ্র (ডাউনলোড)

নেমেসিস মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন Pdf (eBook)

বেগ বাস্টার্ড বই নং -১

বইয়ের নাম
: নেমেসিস

লেখকের নাম
: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

বইয়ের ধরণ:
থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস

প্রকাশনী
: বাতিঘর প্রকাশনী(BATIGHAR PROKASHON)

১ম প্রকাশ
: বইমেলা ২০১০ সাল

ফাইল ফরম্যাট
: Pdf(পিডিএফ)

নেমেসিস মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন Pdf Download

 

নেমেসিস বই রিভিউ:

নেমেসিস মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের বেগ বাস্টার্ড সিরিজের প্রথম বই।
পক্ষাঘাতগ্রস্ত জনপ্রিয় এক প্রখ্যাত লেখক জায়েদ রেহমান তার নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্ট ভিটা নুভাতে খুন হন। হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ বিস্ময়কর দ্রুততায় ধরে ফেললো সম্ভাব্য খুনিকে। সন্দেহের তীর গিয়ে পড়লো লেখকের যুবতী স্ত্রীর ওপর । 

তবে তাকে খুন করা হয়েছে বিচিত্রভাবে।  বুকের মধ্যে আঘাত করে।ওপেন হার্ট সার্জারির  রোগী হওয়ায়  তিনি এ আঘাত সহ্য না করতে পেরে মারা যান । কাকতালীয়ভাবে সেদিনই তার দ্বিতীয় স্ত্রী  মিসেস রেহমান তার প্রেমিক মিস্টার আলমের সাথে সহবাসে লিপ্ত ছিলেন একই ফ্ল্যাটে ।ঘটনা ক্রমে সে বাড়ির সামনে যেদিন রাতে লেখক খুন হয়েছিলেন সেদিন রাতের বেলায় এক যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এবং দেখা যায় সে ছয়তলার ব্যালকনির দিকে তাকিয়ে আছে।  পুলিশ তাকে পাকড়াও করে তবে সে প্রখ্যাত এক ব্যবসায়ীর ছেলে হওয়ায় জেল থেকে ছাড়া পায়।  তবে যে ইস্নপেক্টর তাকে গ্রেফতার করে সে ফ্লাটে ডাকাতি হতে পারে ভেবে  টহল পুলিশ নিয়ে সেখানে যায় আর ছয় তলায় দারোয়ান এর মাধ্যমে ইন্টারকমে ফোন করে জানতে চায় কোন সমস্যা আছে কিনা আর তখনই শুনতে পায় একটা চিৎকার। আর তিনি যখন ছয় তলায় যান তখন দেখেন লেখক খুন হয়েছেন । 

ঘটনাক্রমে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের চৌকস অফিসার জেফরি এই খুনের তদন্তের সাথে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে খুব সহজেই তিনি  ক্রাইম স্পট থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করে মিসেস রেহমানের প্রেমিককে ভিটা নুভা  থেকে গ্রেফতার করেন এবং স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রতি সন্দেহ জাগে যে তারাই খুনটা করেছে ।  জেফরি প্রথমে ভেবেছিলেন খুব সহজেই তদন্তের সমাধান করে ফেলেছেন। কিন্তু পরে নানা তথ্য পান তিনি এবং অনেক ধরনের অসঙ্গতি খুঁজে পান। মারা যাওয়ার আগে লেখক তার  একজন পুরনো প্রকাশককে আত্মজীবনীমূলক একটি বই এর পিডিএফ ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠান । মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে লেখকের আত্মজীবনী মেইল হয়ে গেল অন্য একজনের কাছে, ঘটনা মোড় নিলো ভিন্ন দিকে। শেষ পর্যন্ত মি.বেগ জানতে পারলো অপ্রত্যাশিত আর অচিন্তনীয়  কিছু ।

যেখানে এক সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিচয় উঠে এসেছে তার যা ছিল লোকচক্ষুর আড়ালে এবং এ বইয়ের স্বত্ব দিয়ে যাওয়া হয়েছে তার প্রথম স্ত্রী কে।  সন্দেহের বান প্রকাশক এবং তার প্রথম স্ত্রীর দিকেও যায়। তবে কোনো শক্ত প্রমাণ পাওয়া যায় না তাদের বিরুদ্ধে। মিসেস রহমান এবং মিস্টার আলম কে এক পর্যায়ে নির্দোষ মনে হয় জেফরির। তবে সে যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারে না । এর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সে । তার  সাসপেক্ট লিস্টে যারা ছিল তাদের সাথে কথা বলে সে বেশ কিছু তথ্য পায় যা ছিল একেবারে অবাক করার মত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি জেফরি ধরতে পেরেছিল  জায়েদ রেহমানের খুনি কে ছিল ?আর কেইবা খুনটা করিয়েছিল? একজন প্রখ্যাত লেখক কে খুন করার কারণই বা কি হতে পারে ?জানতে হলে পড়ে ফেলতে পারেন বইটি।

 

Nemesis by Mohammad Nazim Uddin book review 02:

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় শুয়ে আছেন নিজের অ্যাপার্টমেন্ট ভিটা নুভার ছয় তলার নিজের রুমে। পাশের রুমে তখন তার দ্বিতীয় স্ত্রী বয়ফ্রেন্ড এর সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত। রাত প্রায় দুটোর সময় হঠাৎ করে এক আবছায়া মূর্তি তার সামনে এসে দাড়ালো। কালো পোশাকের কারণে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না।

“কে?”
ফ্যাসফেসে কন্ঠে শব্দটা উচ্চারণ করলেন। দ্বিতীয় বার বলার চেষ্টা করেও কিছু বলতে পারলেন না। মূর্তি টা এবার আস্তে করে এগিয়ে এসে লেখকের মুখ চেপে ধরলো। শক্তিহীনতার জন্য লেখক কোনো বাধাই দিতে পারলেন না। তিনি বুঝতে পারলেন মৃত্যু তাকে আলিঙ্গন করছে৷ এই অভিজ্ঞতাটি কেমন সেটা নিয়ে অনেক ভেবেছেন৷ তার লেখায় মৃত্যুদৃশ্য নির্মাণ করেছেন৷ কিন্তু এখন যে তার অনুভূতি হচ্ছে তা বর্ণনাতীত। অবশেষে মৃত্যুর কোলে নিজেকে সমর্পণ করলেন জনপ্রিয় লেখক জায়েদ রেহমান৷ লেখকের মুখে উচ্চারিত শেষ কথাটি শুনে প্রথমবারের মতো খুনিও একটু  চমকে উঠলো৷
“…..আমাকে ক্ষমা করে দিও!”

জেফরি বেগ। সিটি হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট এর তরুণ বিচক্ষণ ইনভেস্টিগেটর৷ এফবিআই থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত। লেখক জায়েদ রেহমান এর মৃত্যুর অনুসন্ধান করতে জেফরি বেগ কে দায়িত্ব দেয়া হয়। অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি সজ্জিত মোবাইল এভিডেন্স ভ্যান নিয়ে জেফরি হাজির হয় ভিটা নুভা অ্যাপার্টমেন্টে৷ বিষ্ময়কর দ্রুততায় জেফরি সম্ভাব্য খুনিকে ধরে ফেলে। সবাই বাহবা দিতে থাকে। এমনকি হোমমিনিস্টার নিজে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টকে ফোন দিয়ে অভিনন্দন জানান।

কিন্তু কাহিনীর সবে শুরু। সম্ভাব্য খুনিকে ধরার পর থেকেই কাহিনী জট পাকাতে শুরু করে৷ একে একে বেরিয়ে আসে সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। জেফরি বেগের কাছে ধরা পড়ে এই কেসের অসঙ্গতিগুলো। জেফরি এখন অনেকটা নিশ্চিত লেখক জায়েদ রেহমানের হত্যাকাণ্ডের পেছনে যে বা যারা জড়িত তারা অনেক বেশি সতর্ক আর দক্ষ৷
“পেশাদার কেউ?” সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেয়া যায় না৷

nemesis nazimuddin pdf link- Click here – link02 – link 03

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!